পাঠ পরিকল্পনা কী?
পাঠ পরিকল্পনা হলো এমন একধরনের পরিকল্পনার যার মাধ্যমে একজন শিক্ষকের পক্ষে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পূর্বেই ঠিক করে নেওয়া সম্ভব হয়- একটি নির্দিষ্ট পাঠ বা পাঠের অংশ তার শিখনফল অনুসারে কীভাবে শিক্ষার্থীদেরকে শেখাতে হবে, পাঠের কোন অংশের জন্য কতটুকু সময় ব্যয় করতে হবে, ওই পাঠ বা পাঠ্যাংশের ওপর শ্রেণিকার্যক্রম পরিচালনার সময় শিক্ষক হিসেবে নিজের ও শিক্ষার্থীদের কার কী করণীয় থাকবে । পাঠদানে কী উপকরণ ব্যবহার করতে হবে এবং যে শিখনফলকে কেন্দ্র করে পাঠদান করা হবে তা কতটুকু অর্জিত হলো এবং তা জানার জন্য মূল্যায়ন কীরূপ হবে।
পাঠ পরিকল্পনা বলতে বোঝায় শিক্ষকের সুবিধার জন্য শিক্ষক কর্তৃক বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রণয়ন করা এমন এক ধরনের পরিকল্পনা যাতে উল্লেখ থাকে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের কী শিখতে হবে বা শিক্ষার্থীদেরকে কী শেখাতে হবে; নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনের উপায় অর্থাৎ শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষক কোন পন্থা, পদ্ধতি ও কৌশল ব্যবহার করে পাঠদান সফল করবেন এবং কীভাবে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।
শিক্ষার্থীরা কী শিখবে, কীভাবে তা শেখানো হবে এবং কীভাবে শিখন মূল্যায়ন করা হবে সে সম্পর্কে শিক্ষকের দৈনন্দিন নির্দেশনা হলো পাঠ পরিকল্পনা।
পাঠ পরিকল্পনার গুরুত্ব:
১। পাঠ পরিকল্পনার মাধ্যমে শিক্ষণ -শিখনের উদ্দেশ্য জানা যায়।
২। পাঠের বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যায়।
৩। উপযুক্ত পদ্ধতি ও কৌশল ব্যবহার করা যায়।
৪। সুশৃঙ্খল, ধারাবাহিকভাবে পাঠ
উপস্থাপন করা যায়।
৫। সময় অপচয় রোধ করা যায়।
৬। শিক্ষার্থীদের সক্রিয়
অংশ গ্রহন নিশ্চিত করা যায়।
৭। পাঠ মূল্যায়নের জন্য যথাযথ
প্রশ্ন প্রণয়ন যার মাধ্যমে শিখন ফল যাচাই করা যায়।
৮। শিক্ষার্থীর জ্ঞান, দক্ষতা
ও কোন কোন ক্ষেত্রে মনোভাব যাচাই করা যায়।
৯। পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের
জন্য
ব্যবস্থা গ্রহন করা যায়।
১০। অগ্রগামী শিক্ষার্থীদের
শিখনে সহায়তা করা যায়।
১১। উপকরণ নির্বাচন, সংগ্রহ ও সঠিক ব্যবহার করা যায়।
১২। সার্বিকভাবে পাঠদান পক্রিয়া আনন্দদায়ক ও ফলপ্রসূ করা যায়।
১৩। যথা সময়ে সিলেবাস শেষ করার দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়।
১৪। নির্দিষ্ট সময়ে পাঠদান সমাপ্ত করা যায়।
১৫। শিক্ষার লক্ষ ̈ অর্জন করা যায়।
No comments:
Post a Comment