Oct 31, 2020

হে ঈমানদারগণ ! O YE WHO BELIEVE! * Message from Almighty Allah to the Believers


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

হে ঈমানদারগণ!

O YE WHO BELIEVE!




নাজির সাবরী

প্রচারে ও সহোযোগিতায়: এস.কে ফাউন্ডেশন

Email: skfoundation111@gmail.com

www.facebook.com/skfonlinebd

 

কৃতজ্ঞতা:মোঃ শাহ্জাহান গাজী (রাহেমাহুল্লাহ)

প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, এস.কে ফাউন্ডেশন

---------------------------------------------------------------------------------

আসসালামু আলাইকুম, সকল প্রশংশা আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার । ইসলাম পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে গতিশীল, প্রাকৃতিক, মানবিক, আধুনিক ও বিজ্ঞান সম্মত জীবন বিধান। বিশ্ব মানুষের হেদায়াতের জন্য, বিশ্ব মানুষের কল্যানের জন্য বিশ্ব মানুষের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য এবং তাদের ইহকালিন মুক্তি, পরকালিন মুক্তি, জাগতিক, আধ্যাতিক এবং নৈতিক চারিত্রিক উন্নতির জন্য আল্লাহ সুবাহানহু তায়ালা  দিয়েছেন মহাগ্রন্থ আল কুরআন । তাঁহারই কালজয়ী বিধান যা চিরন্তন হেদায়াতের জলন্ত শিখা অনির্বান, নিখুত, নির্ভুল নিরংকুশ পাথেও যা যুগে যুগে আমাদেরকে দেয় আদর্শের প্রেরণা, মহত্বের সাধনা ।

আল কুরআন সর্ম্পুণ মানব্জাতরি জন্য পথপ্রর্দশক স্বরূপ । আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সর্বশেষ মহাগ্রন্থ আল কুরআনে মানব জাতিকে লক্ষ্য করে কিছু মৌলিক মুলনীতি ঘোষনা করেছেন। প্রথমত সমগ্র মানব জাতিকে লক্ষ্য করে, দ্বিতীয়ত ইমানদার জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে কিছু নির্দেশ মূলক কথা বলেছেন যা কোরআনুল কারিমে মাক্কী সুরা ও মাদানী সুরা নামে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ইমানদার  জনগোষ্ঠীকে উদ্দেশ্য করে যে কথা গুলো পবএি কুরআনে বলা হয়েছে অত্র পুস্তিকায় পাঠক সমাজের সুবিধার্থে সেগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে যাতে আমরা সবাই তা বুঝতে ও অনুসরন করতে পার।িএখানে শুধু মাএ আয়াতরে বাংলা র্অথ দওেয়া হয়ছেে কোন আয়াতরে ব্যাখা প্রদান করা হয়ন।যদি এই বইটিতে কোনও ধরণরে ভুল-ত্রুটি পাওয়া যায় তবে আমাদের ইমেইলের মাধ্যমে জানাবনে। যে কোনও ধরণরে পরার্মশ এবং প্রস্তাব অত্যন্ত সাদরে গ্রহণ করা হবে।পরিশেষে বলতে চাই, রাসূল -সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম-আমাদরেকে শ্রেষ্ঠ  হবার একটি সহজ পদ্ধতি শিখিয়ে গেছেন: তোমাদরে মাঝে  শ্রেষ্ঠ  হল যে নিজে কুরআন শিখে এবং অন্যকে শেখায়। (আল-বুখারী)

অতএব, আসুন, আমরা কুরআন নিজে  শিখি এবং অন্যকে শিখাই এবং নিজেকে শ্রেষ্ঠ  মুসলমিদরে একজন হিসাবে গড়ে তুলি ।ইন-শা-আল্লাহ।

আল্লাহ যেনো আমাদরে সকলের নেক প্রচষ্টো কবুল করেন এবং আমাদরে ভুল-এ্রুটিগুলি ক্ষমা করেন। আমিন।

নাজরি সাবরী

র্মাচ, ২০২০

সুচিপত্র

.  ‘রায়িনা’ বলো না-‘উনযুরনা’ বলো

. ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো

. পবিত্র বস্তু সামগ্রী আহার করো

. কেসাস গ্রহণ করা বিধিবদ্ধ করা হয়েছে

. রোজা রাখো ও পরহেযগারী অর্জন করো

৬.পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও

৭. কিয়ামতের দিন না আছে বেচা-কেনা, না আছে সুপারিশ কিংবা বন্ধুত্ব

৮. অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে এবং কষ্ট দিয়ে নিজেদের দান বরবাদ করো না

৯. স্বীয় উপার্জন থেকে উৎকৃষ্ট বস্তু ব্যয় করো

১০. সুদ পরিত্যাগ করো

১১. ক্রয়-বিক্রয়ের সময় লিপিবদ্ধ করো ও সাক্ষী রাখ

১২. আহলে কিতাবদের অনুসরন করো না

১৩. আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করো

১৪. মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না

১৫. চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না

১৬. কাফেরদের (অবিশ্বাসীদের) কথা শোন না

১৭. কাফেরদের (অবিশ্বাসীদের) মত হয়ো না

১৮. ধৈর্য্য ধারণ করো এবং দৃঢ়তা অবলম্বন করো

১৯. নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন করো

২০. অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না

২১.  অপবিএ অবস্হায় নামাযের ধারে-কাছেও যেওনা

২২. আল্লাহর নির্দেশ মান্য করো, নির্দেশ মান্য করো রসূলের এবং বিচারকদের (নেতাদের)

২৩. সর্বক্ষণ সাবধানতা অবলম্বন করো শত্রুর মোকাবিলার জন্য

২৪. নিশ্চিত করে নিও অপরিচিত কেউ মুসলিম দাবী করলে

২৫. ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক নিজেদের ব্যক্তিসত্তার বিরুদ্ধে গেলেও

২৬.পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন কর

২৭. কাফেরদেরকে নিজেদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না

২৮. অঙ্গীকারসমূহ পূর্ন করো 

২৯.সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য করো, পাপ ও সীমালঙ্ঘনে নয়

৩০. ওযু, গোসল অথবা তায়াম্মুম করে পবিএ হও

৩১. ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করো না

৩২.আল্লাহর উপরই ভরসা করো

৩৩.নৈকট্য অন্বেষন ও সংগ্রাম করো

৩৪. ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না

৩৫. মুসলমানদের প্রতি বিনয় হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে

৩৬. যারা তোমাদের ধর্মকে নিয়ে উপহাস করে তাদেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না

৩৭.  আল্লাহ তোমাদের জন্য যেসব পবিত্র জিনিস হালাল করেছেন সেগুলিকে হারাম করো না

৩৮.মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ শয়তানের কার্যকালাপ

৩৯. শিকারের মাধ্যমে পরীক্ষা করবেন

৪০. ইহরাম বাঁধা অবস্থায় শিকার করো না

৪১. দ্বীনের বিষয় ছাড়া অপ্রয়োজনীয়, অনর্থক, অগুরুত্বপূর্ণ , কথা জিজ্ঞেস  না করা

৪২. নিজেদের কথা চিন্তা করো ও সৎপথে থাকো

৪৩.যখন কারও মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন দু'জন সাক্ষী রেখো

৪৪.কাফেরদের সাথে মুখোমুখী হলে পশ্চাদপসরণ করো না

৪৫.আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশ অমান্য কর না

৪৬.আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশ মান্য কর

৪৭. আল্লাহ ও রাসূলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করো না

৪৮.আল্লাহকে ভয় করার পথ অবলম্বন করো

৪৯.শত্রু দলের মোকাবিলায় সুদৃঢ় থাকো

৫০. অবিশ্বাসীদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না

৫১.মুশরিকরা যেন মসজিদুল-হারামের নিকট না আসে

৫২. নামধারী পন্ডিত ও সংসারবিরাগীদের থেকে সতর্ক থাকো

৫৩. আখেরাতের মোকাবিলায় দুনিয়ার জীবন পছন্দ করো না

৫৪. সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হও

৫৫. যুদ্ধ করো যাতে কাফেররা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করে

৫৬. তোমর পালনকর্তার এবাদত করো এবং সৎকাজ করো

৫৭.শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না

৫৮. বিনা অনুমতিতে অন্যের গৃহে প্রবেশ করো না

৫৯. তিন সময়ে অনুমতি নিতে হবে

৬০. তোমরা শুধু আল্লাহর ইবাদত করো

৬১. আল্লাহর নেয়ামতের কথা স্মরণ করো

৬২. অধিক পরিমাণে আল্লাহকে স্মরণ করো

৬৩.তোমরা মুমিন নারীদেরকে উত্তম পন্থায় বিদায় দেবে

৬৪. অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য নবীর গৃহে প্রবেশ করো না

৬৫. নবীর জন্যে রহমতের দোয়া ও সালাম প্রেরণ করো

৬৬. মূসাকে যারা কষ্ট দিয়েছে, তোমরা তাদের মত হয়ো না

৬৭. তোমরা আল্লাহকে ভয় করো

৬৮. দুনিয়াতে সৎকাজ করো

৬৯. আল্লাহকে সাহায্য করো

৭০. আল্লাহর ও রাসূলের (সাঃ) আনুগত্য করো

৭১. আল্লাহ ও রাসূলের সামনে অগ্রণী হয়ো না

৭২.নবীর সাথে উঁচুস্বরে কথা বলো না

৭৩.কোন সংবাদ পরীক্ষা করে দেখে সিন্ধান্ত নিও

৭৪.কেউ যেন কাউকে উপহাস না করে

৭৫. পশ্চাতে নিন্দা ও সন্দেহ করো না

৭৬.আল্লাহকে ভয় কর এবং তাঁর রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো

৭৭. সীমালংঘন ও অবাধ্যতার বিষয়ে গোপনে পরামর্শ করো না

৭৮.মজলিসে জায়গা করে দিও

৭৯. ভালো ও পবিত্রার জন্য কিছু সাদাকা প্রদান করো

৮০. চিন্তা করো আগামীকালের জন্য কি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছো

৮১. তোমরা শত্রুদেরকে বন্ধরূপে গ্রহণ করো না

৮২. ঈমানদার ও কাফেরদের মধ্যে বিবাহ হালাল নয়

৮৩. আল্লাহ যে জাতির প্রতি রুষ্ট তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো না

৮৪. তোমরা যা করো না, তা বলো না

৮৫. যে বানিজ্যে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে

৮৬. তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হয়ে যাও

৮৭. যখন নামাযের আযান দেয়া হয় তখন বেচাকেনা বন্ধ কর

৮৮. সম্পদ ও সন্তান যেন আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন না করে

৮৯.সতর্ক থাকো তোমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের প্রতি

৯০. নিজেদেরকে এবং পরিবার-পরিজনকে আগুন থেকে রক্ষা করো

৯১.আল্লাহ তাআলার কাছে আন্তরিকভাবে তওবা করো

-----------------------------------------------------------------------------

.‘রায়িনা’ বলো না-‘উনযুরনা’ বলো

হে ঈমানদারগণ! তোমরা ‘রায়িনা’ বলো না-‘উনযুরনা’ বলো এবং শুনতে থাকো । আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি। (সূরা আল বাক্বারাহ - ১০৪)

. ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো

হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন। (সূরা আল বাক্বারাহ - ১৫৩)

. পবিত্র বস্তু সামগ্রী আহার করো

হে ঈমানদারগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু সামগ্রী আহার করো, যেগুলো আমি তোমাদেরকে রুযী হিসাবে দান করেছি এবং শুকরিয়া আদায় করো আল্লাহর, যদি তোমরা তাঁরই বন্দেগী করো। (সূরা আল বাক্বারাহ - ১৭২)

. কেসাস গ্রহণ করা বিধিবদ্ধ করা হয়েছে

হে ঈমানদারগন! তোমাদের প্রতি নিহতদের ব্যাপারে কেসাস গ্রহণ করা বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। স্বাধীন ব্যক্তি স্বাধীন ব্যক্তির বদলায়, দাস দাসের বদলায় এবং নারী নারীর বদলায়। অতঃপর তার ভাইয়ের তরফ থেকে যদি কাউকে কিছুটা মাফ করে দেয়া হয়, তবে প্রচলিত নিয়মের অনুসরণ করবে এবং ভালভাবে তাকে তা প্রদান করতে হবে। এটা তোমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে সহজ এবং বিশেষ অনুগ্রহ। এরপরও যে ব্যাক্তি বাড়াবাড়ি করে, তার জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব। (সূরা আল বাক্বারাহ - ১৭৮)

. রোজা রাখো ও পরহেযগারী অর্জন করো

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার।(সূরা আল বাক্বারাহ - ১৮৩)

৬.পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও

হে ঈমানদার গণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু ।(সূরা আল বাক্বারাহ - ২০৮)

৭. কিয়ামতের দিন না আছে বেচা-কেনা, না আছে সুপারিশ কিংবা বন্ধুত্ব

হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যে রুযী দিয়েছি, সেদিন আসার পূর্বেই তোমরা তা থেকে ব্যয় কর, যাতে না আছে বেচা-কেনা, না আছে সুপারিশ কিংবা বন্ধুত্ব। আর কাফেররাই হলো প্রকৃত যালেম। (সূরা আল বাক্বারাহ - ২৫৪)

৮. অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে এবং কষ্ট দিয়ে নিজেদের দান বরবাদ করো না

হে ঈমানদারগণ!তোমরা অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে এবং কষ্ট দিয়ে নিজেদের দান খয়রাত বরবাদ করো না সে ব্যক্তির মত যে নিজের ধন-সম্পদ লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ব্যয় করে এবং আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে না। অতএব, এ ব্যাক্তির দৃষ্টান্ত একটি মসৃণ পাথরের মত যার উপর কিছু মাটি পড়েছিল। AZtci Dnvi Dci cÖej e„wócvZ Dnv‡K cwi®‹vi Kwiqv ivwLqv †`q| hvnv Zvnviv DcvR©b Kwiqv‡Q Zvnvi wKQyB Zvnviv Zvnv‡`i Kv‡R jvMvB‡Z m¶g nB‡e bv| আল্লাহ কাফের সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না। (সূরা আল বাক্বারাহ - ২৬৪)

৯. স্বীয় উপার্জন থেকে উৎকৃষ্ট বস্তু ব্যয় করো

হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্বীয় উপার্জন থেকে এবং যা আমি তোমাদের জন্যে ভূমি থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উৎকৃষ্ট বস্তু ব্যয় কর এবং তা থেকে নিকৃষ্ট জিনিস ব্যয় করতে মনস্থ করো না। কেননা, তা তোমরা কখনও গ্রহণ করবে না; তবে যদি তোমরা চোখ বন্ধ করে নিয়ে নাও। জেনে রেখো, আল্লাহ অভাব মুক্ত, প্রশংসিত।(সূরা আল বাক্বারাহ - ২৬৭)

১০. সুদ পরিত্যাগ করো

হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে, তা পরিত্যাগ করো, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক।(সূরা আল বাক্বারাহ - ২৭৮)

১১. ক্রয়-বিক্রয়ের সময় লিপিবদ্ধ করো ও সাক্ষী রাখ

হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে ঋনের আদান-প্রদান কর, তখন তা লিপিবদ্ধ করে নাও এবং তোমাদের মধ্যে কোন লেখক ন্যায়সঙ্গতভাবে তা লিখে দেবে; লেখক লিখতে অস্বীকার করবে না। আল্লাহ তাকে যেমন শিক্ষা দিয়েছেন, তার উচিত তা লিখে দেয়া। এবং ঋন গ্রহীতা যেন লেখার বিষয় বলে দেয় এবং সে যেন স্বীয় পালনকর্তা আল্লাহকে ভয় করে এবং লেখার মধ্যে বিন্দুমাত্রও বেশ কম না করে। অতঃপর ঋণগ্রহীতা যদি নির্বোধ হয় কিংবা দূর্বল হয় অথবা নিজে লেখার বিষয়বস্তু বলে দিতে অক্ষম হয়, তবে তার অভিভাবক ন্যায়সঙ্গতভাবে লিখাবে। দুজন সাক্ষী কর, তোমাদের পুরুষদের মধ্যে থেকে। যদি দুজন পুরুষ না হয়, তবে একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা। ঐ সাক্ষীদের মধ্য থেকে যাদেরকে তোমরা পছন্দ কর যাতে একজন যদি ভুলে যায়, তবে একজন অন্যজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়। যখন ডাকা হয়, তখন সাক্ষীদের অস্বীকার করা উচিত নয়। তোমরা এটা লিখতে অলসতা করোনা, তা ছোট হোক কিংবা বড়, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। এ লিপিবদ্ধ করণ আল্লাহর কাছে সুবিচারকে অধিক কায়েম রাখে, সাক্ষ্যকে অধিক সুসংহত রাখে এবং তোমাদের সন্দেহে পতিত না হওয়ার পক্ষে অধিক উপযুক্ত। কিন্তু যদি কারবার নগদ হয়, পরস্পর হাতে হাতে আদান-প্রদান কর, তবে তা না লিখলে তোমাদের প্রতি কোন অভিযোগ নেই। তোমরা ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সাক্ষী রাখ। কোন লেখক ও সাক্ষীকে ক্ষতিগ্রস্ত করো না। যদি তোমরা এরূপ কর, তবে তা তোমাদের পক্ষে পাপের বিষয়। আল্লাহকে ভয় কর তিনি তোমাদেরকে শিক্ষা দেন। আল্লাহ সব কিছু জানেন।(সূরা আল বাক্বারাহ - ২৮২)

১২. আহলে কিতাবদের অনুসরন করো না

হে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি আহলে কিতাবদের কোন ফেরকার কথা মান, তাহলে ঈমান আনার পর তারা তোমাদিগকে কাফেরে পরিণত করে দেবে। (সূরা আলে-ইমরান-১০০)

১৩. আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করো

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক। এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।(সূরা আলে-ইমরান-১০২)

১৪. মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না

হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের অমঙ্গল সাধনে কোন ক্রটি করে না-তোমরা কষ্টে থাক, তাতেই তাদের আনন্দ। শত্রুতাপ্রসুত বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে বেরোয়। আর যা কিছু তাদের মনে লুকিয়ে রয়েছে, তা আরো অনেকগুণ বেশী জঘন্য। তোমাদের জন্যে নিদর্শন বিশদভাবে বর্ণনা করে দেয়া হলো, যদি তোমরা তা অনুধাবন করতে সমর্থ হও। (সূরা আলে-ইমরান-১১৮)

১৫. চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না

হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। (সূরা আলে-ইমরান-১৩০)

১৬. কাফেরদের (অবিশ্বাসীদের) কথা শোন না

হে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি কাফেরদের কথা শোন, তাহলে ওরা তোমাদেরকে পেছনে (বিপরীত দিকে) ফিরিয়ে দেবে, তাতে তোমরা ক্ষতির সম্মুখীণ হয়ে পড়িবে। (সূরা আলে-ইমরান-১৪৯)

১৭. কাফেরদের (অবিশ্বাসীদের) মত হয়ো না

হে ঈমাণদারগণ! তোমরা তাদের (কাফের/অবিশ্বাসীদের) মত হয়ো না, যারা কাফের (অবিশ্বাসী) হয়েছে এবং নিজেদের ভাই বন্ধুরা যখন কোন অভিযানে বের হয় কিংবা জিহাদে যায়, তখন তাদের সম্পর্কে বলে, তারা যদি আমাদের সাথে থাকতো, তাহলে মরতোও না আহতও হতো না। যাতে তারা এ ধারণা সৃষ্টির মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের মনে অনুতাপ সৃষ্টি করতে পারে। অথচ আল্লাহই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু দান করেন । তোমাদের সমস্ত কাজই, তোমরা যা কিছুই কর না কেন, আল্লাহ সবকিছুই দেখেন ।(সূরা আলে-ইমরান-১৫৬) 

১৮. ধৈর্য্য ধারণ করো এবং দৃঢ়তা অবলম্বন করো

হে ঈমানদানগণ! ধৈর্য্য ধারণ কর ও ধৈর্য্য ধারণের প্রতিযোগিতা কর, বাতিলপন্থীদের মোকাবলায় দৃঢ়তা দেখাও, এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাকো ৷ আশা করা যায়, তোমরা সফলকাম হবে । (সূরা আলে-ইমরান-২০০)

১৯. নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন করো

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্য জোরপূর্বক নারীদের উত্তরাধিকারী হয়ে বসা মোটেই হালাল (বৈধ) নয়৷ আর তোমরা যে মোহরানা তাদেরকে দিয়েছো তার কিছু অংশ তাদেরকে কষ্ট বা চাপ  দিয়ে আত্মসাৎ করাও তোমাদের জন্য হালাল (বৈধ) নয়৷ যদি না তারা কোন সুস্পষ্ট অশ্লীল (চরত্রহীনতার)কাজে লিপ্ত হয় । তাদের সাথে সদ্ভাবে জীবন যাপন করো৷ যদি তারা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয় হয়, তাহলে হয়ত তোমরা এমন  একটা জিনিস অপছন্দ করছ যাতে আল্লাহ অনেক কল্যাণ রেখেছেন৷ (সূরা নিসা-১৯)

২০. অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না

হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা-২৯)

২১.  অপবিএ অবস্হায় নামাযের ধারে-কাছেও যেওনা

হে ঈমাণদারগণ! তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক, তখন নামাযের ধারে-কাছেও যেওনা, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছ, আর (নামাযের কাছে যেও না /মসজিদে প্রবেশ করো না) ফরয গোসলের আবস্থায়  যতক্ষণ না গোসল করে নাও। কিন্তু মুসাফির অবস্থার কথা স্বতন্ত্র আর যদি তোমরা অসুস্থ হয়ে থাক কিংবা সফরে থাক অথবা তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি প্রস্রাব-পায়খানা থেকে এসে থাকে কিংবা নারী গমন করে থাকে, কিন্তু পরে যদি পানিপ্রাপ্তি সম্ভব না হয়, তবে পাক-পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাপমোচনকারী,  ক্ষমাশীল। (সূরা নিসা-৪৩)

২২. আল্লাহর নির্দেশ মান্য করো, নির্দেশ মান্য করো রসূলের এবং বিচারকদের (নেতাদের)

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য (আনুগত্য) করো, আনুগত্য করো রসূল এবং তোমাদের মধ্যে কর্তৃত্বপ্রাপ্তদের (নেতাদের)। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের কাছে উল্লেখ কর, যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক । আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম।(সূরা নিসা-৫৯)

২৩. সর্বক্ষণ সাবধানতা অবলম্বন করো শত্রুর মোকাবিলার জন্য

হে ঈমানদারগণ!  সর্বক্ষণ প্রস্তুত থাকো শত্রুর মোকাবিলার জন্য ৷ তারপর সুযোগ পেলে পৃথক পৃথক বাহিনীতে বিভক্ত হয়ে অগ্রসর হও অথবা এক সাথে অগ্রসর হও ৷ (সূরা নিসা-৭১)

২৪. নিশ্চিত করে নিও অপরিচিত কেউ মুসলিম দাবী করলে

হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখন আল্লাহর পথে সফর কর, তখন যাচাই করে নিও এবং যে তোমাদেরকে সালাম করে তাকে বলো না যে, তুমি মুসলমান (বিশ্বাসী) নও। তোমরা পার্থিব জীবনের ক্ষণস্থায়ী সম্পদ সন্ধান করো, বস্তুতঃ আল্লাহর কাছে অনেক সম্পদ রয়েছে। তোমরা ও তো এমনি ছিলে ইতিপূর্বে; অতঃপর আল্লাহ তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। অতএব, নিশ্চিত করে নিও। নিশ্চয় তোমরা যা কর আল্লাহ তা অবহিত।। (সূরা নিসা-৯৪)

২৫. ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক নিজেদের ব্যক্তিসত্তার বিরুদ্ধে গেলেও

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর পক্ষে ন্যায়বিচারের (ইনসাফের) রক্ষক ও আল্লাহর সাক্ষী হয়ে যাও, তোমাদের ইনসাফ ও সাক্ষ্য তোমাদের নিজেদের ব্যক্তিসত্তার অথবা তোমাদের বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনদের বিরুদ্ধে গেলেও৷ উভয় পক্ষ ধনী বা গরীব যাই হোক না কেন আল্লাহ তাদের শুভাকাঙ্খী (কল্যাণকামী) তোমাদের চাইতে বেশী বেশী  ৷ কাজেই নিজেদের কামনার (আকাঙ্ক্ষাগুলির) বশবর্তী হয়ে ন্যায়বিচার (ইনসাফ) থেকে বিরত থেকো না৷ আর যদি তোমরা ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা বল কিংবা পাশ কাটিয়ে যাও, তাহলে জেনে রাখো, তোমরা যা কিছু করছো সে বিষয়ে আল্লাহ অবশ্যই অবহিত। (সূরা নিসা- ১৩৫)

২৬.পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন কর

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন কর এবং বিশ্বাস স্থাপন কর তাঁর রসূল ও তাঁর কিতাবের উপর, যা তিনি নাযিল করেছেন স্বীয় রসূলের উপর এবং সে সমস্ত কিতাবের উপর, যেগুলো নাযিল করা হয়েছিল ইতিপূর্বে। যে আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর, তাঁর কিতাব সমূহের উপর এবং রসূলগণের উপর ও কিয়ামতদিনের উপর বিশ্বাস করবে না, সে স্পষ্টতই পথভ্রষ্ট হয়ে গেলো৷    (সূরা নিসা-১৩৬)

২৭. কাফেরদেরকে নিজেদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না

হে ঈমানদারগণ! তোমরা মুমিনদের বাদ দিয়ে কাফেরদেরকে নিজেদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না৷ তোমরা কি এমনটি করে আল্লাহকে তোমাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্র্মাণ (মামলা) দিতে চাও? (সূরা নিসা-১৪৪)

২৮. অঙ্গীকারসমূহ পূর্ন করো  

হে ঈমানদারগণ!  তোমরা অঙ্গীকারসমূহ (প্রতিশ্রুতি) পূর্ন কর। তোমাদের জন্য চতুষ্পদ জন্তু হালাল করা হয়েছে, যা তোমাদের কাছে নির্দিষ্ট করা হবে তা ব্যতীত। কিন্তু এহরাম বাধাঁ অবস্থায় শিকারকে হালাল মনে করিবে না! নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা যা ইচ্ছা করেন তা নির্দেশ দেন। (সূরা মায়েদা -১) 

২৯.সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য করো, পাপ ও সীমালঙ্ঘনে নয়

হে ঈমানদারগণ! হালাল মনে করো না আল্লাহর নিদর্শনসমূহ এবং সম্মানিত মাসসমূহকে এবং হরমে কুরবানীর জন্যে নির্দিষ্ট জন্তুকে এবং ঐসব জন্তুকে, যাদের গলায় কন্ঠাভরণ রয়েছে এবং ঐসব লোককে যারা সম্মানিত গৃহ অভিমুখে যাচ্ছে, যারা স্বীয় পালনকর্তার অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনা করে। যখন তোমরা এহরাম থেকে বের হয়ে আস, তখন শিকার কর। যারা পবিত্র মসজিদ থেকে তোমাদেরকে বাধা প্রদান করেছিল, সেই সম্প্রদায়ের শুত্রুতা যেন তোমাদেরকে সীমালঙ্ঘনে প্ররোচিত না করে। সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর । নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা  ।(সূরা মায়েদা -২) 

৩০. ওযু, গোসল অথবা তায়াম্মুম করে পবিএ হও

হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হাত সমূহ কনুই পর্যন্ত এবং পদযুগল (পা) গোড়ালি পর্যন্ত ধৌত কর । যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও এবং যদি তোমরা রুগ্ন হও, অথবা প্রবাসে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর, অতঃপর পানি না পাও, তবে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-অর্থাৎ, স্বীয় মুখ-মন্ডল ও হস্তদ্বয় (হাত) মাটি দ্বারা মুছে নিজেকে শুদ্ধ করো । আল্লাহ তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে চান না; তিনি তোমাদেরকে পবিত্র রাখতে চান এবং তাঁর অনুগ্রহ তোমাদের উপর পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ কর।(সূরা মায়েদা -৬) 

৩১. ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করো না

হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে ন্যায় সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে অবিচল থাকবে এবং কোন সম্প্রদায়ের শত্রুতার কারণে কখনও ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করো না। সুবিচার কর এটাই খোদাভীতির (তাকওয়ার) অধিক নিকটবর্তী। আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে খুব জ্ঞাত (অবহিত) ।   (সূরা মায়েদা -৮) 

৩২.আল্লাহর উপরই ভরসা করো

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর, যখন এক সম্প্রদায় তোমাদের দিকে স্বীয় হস্ত প্রসারিত করতে সচেষ্ট হয়েছিল, তখন তিনি তাদের হস্ত তোমাদের থেকে প্রতিহত করে দিলেন। আল্লাহকে ভয় কর এবং মুমিনদের আল্লাহর উপরই ভরসা করা উচিত।(সূরা মায়েদা -১১)

৩৩.নৈকট্য অন্বেষন ও সংগ্রাম করো

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় কর, তাঁর নিকটবর্তী হওয়ার উপায় অনুসন্ধান কর এবং তাঁর পথে সংগ্রাম কর যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সূরা মায়েদা -৩৫) 

৩৪. ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না

হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেম সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না। (সূরা মায়েদা -৫১) 

৩৫. মুসলমানদের প্রতি বিনয় হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মধ্যে যে স্বীয় ধর্ম (বিশ্বাস)থেকে ফিরে যাবে, অচিরে আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফেরদের (অবিশ্বাসীদের) প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম  করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর (সমালোচকদের) তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ-তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন।নিঃসন্দেহে আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী।(সূরা মায়েদা -৫৪) 

৩৬. যারা তোমাদের ধর্মকে নিয়ে উপহাস করে তাদেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না

হে ঈমানদারগণ! আহলে কিতাবদের মধ্য থেকে যারা তোমাদের ধর্মকে উপহাস (ঠাট্টা-বিদ্রূপ) ও খেলা মনে করে, তাদেরকে এবং অন্যান্য কাফেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না। আল্লাহকে ভয় কর, যদি তোমরা ঈমানদার হও। (সূরা মায়েদা- ৫৭)

৩৭.আল্লাহ তোমাদের জন্য যেসব পবিত্র জিনিস হালাল করেছেন সেগুলিকে হারাম করো না

হে ঈমানদারগণ! তোমরা ঐসব সুস্বাদু বস্তু হারাম করো না, যেগুলো আল্লাহ তোমাদের জন্য হালাল করেছেন এবং সীমালংঘন করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সীমা সীমালংঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।(সূরা মায়েদা -৮৭) 

৩৮.মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ শয়তানের কার্যকালাপ

হে ঈমানদারগণ! এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কাজ । অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে (এড়িয়ে চল) থাক-যাতে তোমরা সফলকাম (কল্যাণপ্রাপ্ত) হতে পার। (সূরা মায়েদা -৯০) 

৩৯. শিকারের মাধ্যমে পরীক্ষা করবেন

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ তোমাদেরকে এমন কিছু শিকারের মাধ্যমে পরীক্ষা করবেন, যে শিকার পর্যন্ত তোমাদের হাত ও বর্শা সহজেই পৌছতে পারবে-যাতে আল্লাহ বুঝতে পারেন যে, কে তাকে অদৃশ্যভাবে (অন্তরে) ভয় করে। অতএব, যে ব্যক্তি এরপর সীমা অতিক্রম করবে, তার জন্য যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি রয়েছে ।(সূরা মায়েদা -৯৪) 

৪০. ইহরাম বাঁধা অবস্থায় শিকার করো না

হে ঈমানদারগণ! ইহরাম বাঁধা অবস্থায় শিকার (প্রাণী হত্যা ) করো না৷ আর তোমাদের কেউ যদি জেনে বুঝে (ইচ্ছাকৃতভাবে) এমনটি করে বসে, তাহলে যে প্রাণীটি সে হত্যা করেছে গৃহপালিত প্রাণীর মধ্য থেকে তারই সমপর্যায়ের একটি প্রাণী তাকে দান করতে হবে, যার ফায়সালা করবে তোমাদের মধ্য থেকে দুজন ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তি৷ আর এ দান (কুরবানীরুপে) কাবা ঘরে পৌঁছাতে হবে৷ অথবা এ গুনাহের কাফ্ফারা হিসেবে কয়েক জন মিসকীনকে (অভাবীদের) খাবার খাওয়াতে হবে৷ অথবা সে অনুপাতে (সমপরিমাণ) রোযা রাখতে হবে, যাতে সে নিজের কৃতকর্মের স্বাদ ভোগ করে৷ পূর্বে যা কিছু হয়ে গেছে সেসব আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন৷ কিন্তু যদি কেউ সে কাজের পুনরাবৃত্তি করে তাহলে আল্লাহ তার প্রতিশোধ নেবেন৷ আল্লাহ সর্বশক্তিমান, প্রতিশোধ গ্রহণকারী । (সূরা মায়েদা -৯৫) 

৪১. দ্বীনের বিষয় ছাড়া অপ্রয়োজনীয়, অনর্থক, অগুরুত্বপূর্ণ , কথা জিজ্ঞেস  না করা

হে ঈমানদারগণ! এমন বিষয় জিজ্ঞেস করো না যা তোমাদের কাছে প্রকাশ করে দেয়া হলে তোমাদের খারাপ লাগবে৷ তবে কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার সময় যদি তোমরা সেসব বিষয়ে জিজ্ঞেস করো তাহলে তা তোমাদের কাছে প্রকাশ করা হবে৷ এ পর্যন্ত তোমরা যা কিছু করেছো, আল্লাহ তা ক্ষমা করে দিয়েছেন৷ তিনি ক্ষমাশীল ও সহনশীল৷ (সূরা মায়েদা -১০১)

৪২. নিজেদের কথা চিন্তা করো ও সৎপথে থাকো

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের দায়িত্ব তোমাদেরই উপর ।অন্য কারোর গোমরাহীতে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই যদি তোমরা নিজেরা সত্য ও সঠিক পথে থাকো৷ তোমাদের সবাইকে আল্লাহর দিকে ফিরে (প্রত্যাবর্তন) যেতে হবে৷ তোমরা যা কর সে সম্পর্কে তিনি তোমাদের অবহিত করবেন।  (সূরা মায়েদা -১০৫)

৪৩.যখন কারও মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন  দু'জন  সাক্ষী রেখো

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মধ্যে যখন কারও মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন ওছিয়ত (ইচ্ছা পূরণ) করার সময় তোমাদের মধ্য থেকে ধর্মপরায়ন (ন্যায়বান) দুজনকে সাক্ষী রেখো। তোমরা সফরে (ভ্রমণে) থাকলে এবং সে অবস্থায় তোমাদের মৃত্যু উপস্থিত হলে তোমরা তোমাদের ছাড়াও দু'জন  ব্যক্তিকে সাক্ষী হিসাবে রেখো। যদি তোমাদের সন্দেহ হয়, তবে উভয়কে সালাতের (নামাযের) পর থাকতে বলবে। অতঃপর উভয়েই আল্লাহর নামে শপথ (কসম) করিবে যে, "আমরা এ সাক্ষীর বিনিময়ে কোন উপকার গ্রহণ করব না - এমনকি তিনি যদি কোনও নিকটাত্মীয়ও হন এবং আল্লাহর সাক্ষ্য আমরা গোপন করিব না; করিলে আমরা অবশ্যই গোনাহগার (পাপী) হব।"(সূরা মায়েদা -১০৬) 

৪৪.কাফেরদের সাথে মুখোমুখী হলে পশ্চাদপসরণ করো না

হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখন কাফেরদের (অবিশ্বাসীদের) সাথে মুখোমুখী হবে, তখন পশ্চাদপসরণ করবে না। (সূরা আনফাল -১৫)

৪৫.আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশ অমান্য কর না

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশ মান্য কর এবং শোনার পর তা থেকে বিমুখ হয়ে যেও না। (সূরা আনফাল -২০)

৪৬.আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশ মান্য কর

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশ মান্য কর, যখন তোমাদের সে কাজের প্রতি আহবান করা হয়, যাতে রয়েছে তোমাদের জীবন। জেনে রেখো, আল্লাহ মানুষের এবং তার অন্তরের মাঝে অন্তরায় হয়ে যান। বস্তুতঃ তোমরা সবাই তাঁরই নিকট সমবেত হবে।।(সূরা আনফাল -২৪)

৪৭. আল্লাহ ও রাসূলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করো না

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ ও রাসূলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করো না এবং নিজেদের পারস্পরিক আমানত জেনে-শুনে খেয়ানত করো না । (সূরা আনফাল -২৭)

৪৮.আল্লাহকে ভয় করার পথ অবলম্বন করো

হে ঈমানদারগণ! যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো তবে তিনি তোমাদেরকে ন্যায় ও অন্যায়ের পাথক্য করার শক্তি দিবেন এবং তোমাদের পাপগুলো এবং তোমাদের ত্রুটি -বিচ্যুতিগুলো ক্ষমা করবেন৷ বস্তুতঃ আল্লাহ অতিশয় অনুগ্রহশীল৷ (সূরা আনফাল - ২৯)

৪৯.শত্রু দলের মোকাবিলায় সুদৃঢ় থাকো

হে ঈমানদারগণ! যখন কোন শত্রু দলের সাথে তোমাদের মোকাবিলা হয়, তখন তোমরা সুদৃঢ় থাকো এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করতে থাকো৷ আশা করা যায়, এতে তোমরা সাফল্য অর্জন করবে৷ (সূরা আনফাল -৪৫)

৫০. অবিশ্বাসীদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না

হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্বীয় পিতা ও ভাইদের অন্তরঙ্গরূপে (অভিভাবকরূপে) গ্রহণ করো না, যদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরকে ভালবাসে। আর তোমাদের যারা তাদের অন্তরঙ্গরূপে (অভিভাবকরূপে) গ্রহণ করে তারা সীমালংঘনকারী। (সূরা আত তাওবাহ-২৩)

৫১.মুশরিকরা যেন মসজিদুল-হারামের নিকট না আসে

হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র। সুতরাং এ বছরের পর তারা যেন মসজিদুল-হারামের নিকট না আসে। আর যদি তোমরা দারিদ্রের আশংকা কর, তবে আল্লাহ চাইলে নিজ করুনায় ভবিষ্যতে তোমাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।(সূরা আত তাওবাহ-২৮)

৫২. নামধারী পন্ডিত ও সংসারবিরাগীদের থেকে সতর্ক থাকো

হে ঈমানদারগণ! আহলে কিতাবদের অধিকাংশ আলেম (পন্ডিত/পুরোহিত) ও সংসারবিরাগীদের অনেকে লোকদের সম্পদকে (মালামাল) অন্যায়ভাবে ভোগ করে চলছে এবং আল্লাহর পথ থেকে লোকদের নিবৃত রাখছে। আর যারা স্বর্ণ ও রূপা জমা করে রাখে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না, তাদের কঠোর আযাবের সুসংবাদ দাও৷ (সূরা আত তাওবাহ-৩৪)

৫৩. আখেরাতের মোকাবিলায় দুনিয়ার জীবন পছন্দ করো না

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের কী হলো, যখনই তোমাদের আল্লাহর পথে বের হতে বলা হলো, অমনি তোমরা মাটি কামড়ে পড়ে থাকলে? তোমরা কি আখেরাতের মোকাবিলায় দুনিয়ার জীবন পছন্দ করে নিয়েছো? যদি তাই হয় তাহলে তোমরা মনে রেখো, দুনিয়ার জীবনের এমন সাজ- সরঞ্জাম আখেরাতে তুলনায় কেবল সামান্যই ৷   (সূরা আত তাওবাহ-৩৮)

৫৪. সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হও

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাকো ।(সূরা আত তাওবাহ-১১৯)

৫৫. যুদ্ধ করো যাতে কাফেররা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করে

হে ঈমানদারগণ! সত্য অস্বীকারকারীদের মধ্যে যারা তোমাদের নিকটবর্তী তাদের সাথে যুদ্ধ করো৷ তারা যেন তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখতে পায়৷ জেনে রাখো, আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে আছেন৷ (সূরা আত তাওবাহ-১২৩)

৫৬. তোমর পালনকর্তার এবাদত করো এবং সৎকাজ করো

হে ঈমানদারগণ! তোমরা রুকু করো, সেজদা করো, তোমাদের পালনকর্তার এবাদত করো এবং সৎকর্ম সম্পাদন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা হাজ্জ্ব-৭৭)

৫৭.শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না

হে ঈমানদারগণ! তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না।যে ব্যক্তি শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তখন তো শয়তান নির্লজ্জতা ও মন্দ কাজেরই আদেশ করবে। যদি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া তোমাদের প্রতি না থাকত, তবে তোমাদের কেউ কখনও পবিত্র হতে পারতে না। কিন্তু আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পবিত্র করেন। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।। (সূরা আন-নূর-২১)

৫৮. বিনা অনুমতিতে অন্যের গৃহে প্রবেশ করো না

হে ঈমানদাগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ছাড়া অন্যের গৃহে প্রবেশ করো না যতক্ষণ না গৃহবাসীদের সম্মতি লাভ করো এবং তাদেরকে সালাম করো ৷ এটিই তোমাদের জন্য ভালো পদ্ধতি, আশা করা যায় তোমরা এদিকে নজর রাখবে । (সূরা আন-নূর-২৭)

৫৯. তিন সময়ে অনুমতি নিতে হবে

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মালিকানাধীন দাসদাসী এবং তোমাদের এমন সব সন্তান যারা এখনো প্রাপ্ত বয়স্ক হয়নি, তাদের অবশ্যই তিনটি সময়ে অনুমতি নিয়ে তোমাদের কাছে আসা উচিতঃ ফজরের নামাযের আগে, দুপুরে যখন তোমরা পোশাক ছেড়ে রেখে দাও এবং এশার নামাযের পর৷ এ তিনটি তোমাদের গোপনীয়তার সময় ৷ এরপরে তারা বিনা অনুমতিতে এলে তোমাদের কোন গুনাহ নেই এবং তাদেরও না ৷ তোমাদের পরস্পরের কাছে বারবার আসতেই হয় ৷ এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য নিজের বাণী সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন এবং তিনি সবকিছু জানেন ও প্রজ্ঞাময় ৷ (সূরা আন-নূর-৫৮)

৬০. তোমরা শুধু আল্লাহর ইবাদত করো

হে ঈমানদারগণ! যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে: আমার পৃথিবী বিস্তৃত, সুতরাং তোমরা কেবল আমারই ইবাদত করো । (সূরা আল আনকাবুত -৫৬)

৬১. আল্লাহর নেয়ামতের কথা স্মরণ করো

হে ঈমানদারগণ! তোমরা তোমাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামতের কথা স্মরণ করো, যখন শত্রুবাহিনী তোমাদের নিকটবর্তী হয়েছিল, অতঃপর আমি তাদের বিরুদ্ধে ঝঞ্চাবায়ু এবং এমন সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করেছিলাম, যাদেরকে তোমরা দেখতে না। তোমরা যা করো, আল্লাহ তা দেখেন। (সূরা আল আহযাব-০৯)

৬২. অধিক পরিমাণে আল্লাহকে স্মরণ করো

হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো । (সূরা আল আহযাব-৪১)

৬৩.তোমরা মুমিন নারীদেরকে উত্তম পন্থায় বিদায় দেবে

হে ঈমানদারগণ!  তোমরা যখন মুমিন নারীদেরকে বিবাহ করো, অতঃপর তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দিয়ে দাও, তখন তাদেরকে ইদ্দত পালনে বাধ্য করার অধিকার তোমাদের নাই। অতঃপর তোমরা তাদেরকে কিছু দেবে এবং উত্তম পন্থায় বিদায় দেবে। (সূরা আল আহযাব-৪৯)

৬৪. অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য নবীর গৃহে প্রবেশ করো না

হে ঈমানদারগণ! তোমাদেরকে অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা আহার্য(রন্ধনের) প্রস্তুতির জন্য  অপেক্ষা না করে খাওয়ার জন্য নবীর গৃহে প্রবেশ করো না। তবে তোমদেরকে আহবান করিলে  প্রবেশ করো, অতঃপর খাওয়া শেষে আপনা আপনি চলে যেয়ো, কথাবার্তায় মশগুল হয়ে যেয়ো না। নিশ্চয় এটা নবীর জন্য কষ্টদায়ক। তিনি তোমাদের কাছে সংকোচ বোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ সত্যকথা বলতে সংকোচ করেন না। তোমরা তাঁর পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্যে এবং তাঁদের অন্তরের জন্যে অধিকতর পবিত্রতার কারণ। আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া এবং তাঁর ওফাতের পর তাঁর পত্নীগণকে বিবাহ করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়। আল্লাহর কাছে এটা গুরুতর অপরাধ। (সূরা আল আহযাব-৫৩)

৬৫. নবীর জন্যে রহমতের দোয়া ও সালাম প্রেরণ করো

আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে ঈমানদারগণ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের দোয়া কর এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ কর। (সূরা আল আহযাব-৫৬)

৬৬. মূসাকে যারা কষ্ট দিয়েছে, তোমরা তাদের মত হয়ো না

হে ঈমানদারগণ! মূসাকে যারা কষ্ট দিয়েছে, তোমরা তাদের মত হয়ো না। তারা যা বলেছিল, আল্লাহ তা থেকে তাঁকে নির্দোষ প্রমাণ করেছিলেন। তিনি আল্লাহর কাছে ছিলেন মর্যাদাবান।(সূরা আল আহযাব-৬৯)

৬৭. তোমরা আল্লাহকে ভয় করো

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো। (সূরা আল আহযাব-৭০)

৬৮. দুনিয়াতে সৎকাজ করো

বলুন, হে আমার বিশ্বাসী বান্দাগণ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় করো। যারা এই দুনিয়াতে সৎকাজ করে, তাদের জন্যে রয়েছে কল্যাণ (পুণ্য) । আল্লাহর পৃথিবী প্রশস্ত। যারা ধৈর্যশীল (সবরকারী), তারা পায় অগণিত পুরস্কার । (সূরা আল-যুমার-১০)

৬৯. আল্লাহকে সাহায্য করো

হে ঈমানদারগণ! যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য করো, আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের অবস্থান দৃঢ় করবেন। (সূরা মুহাম্মদ - ০৭)

৭০. আল্লাহর ও রাসূলের (সাঃ) আনুগত্য করো

হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো, রাসূলের আনুগত্য করো এবং নিজেদের কর্ম বিনষ্ট করো না। (সূরা মুহাম্মদ -৩৩)

৭১. আল্লাহ ও রাসূলের সামনে অগ্রণী হয়ো না

হে ঈমানদারগণ!  তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের সামনে অগ্রণী হয়ো না এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু শুনেন ও জানেন।(সূরা আল হুজরাত-০১)

৭২.নবীর সাথে উঁচুস্বরে কথা বলো না

হে ঈমানদারগণ! তোমরা নবীর কন্ঠস্বরের উপর তোমাদের কন্ঠস্বর উঁচু করো না এবং তোমরা একে অপরের সাথে যেরূপ উঁচুস্বরে কথা বলো, তাঁর সাথে সেরূপ উঁচুস্বরে কথা বলো না। এতে তোমাদের কর্ম নিস্ফল হয়ে যাবে এবং তোমরা টেরও পাবে না।(সূরা আল হুজরাত-০২)

৭৩.কোন সংবাদ পরীক্ষা করে দেখে সিন্ধান্ত নিও

হে ঈমানদারগণ!  যদি কোন পাপাচারী (পাপী) ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা (তদন্ত )করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত  হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত হও। (সূরা আল হুজরাত-০৬)

৭৪.কেউ যেন কাউকে উপহাস না করে

হে ঈমানদারগণ!  কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই জালেম। (সূরা আল হুজরাত-১১)

৭৫. পশ্চাতে নিন্দা ও সন্দেহ করো না

হে ঈমানদারগণ! তোমরা সর্বাধিক সন্দেহ (অনুমান) থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক সন্দেহ (অনুমান) গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভাইয়ের মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। (সূরা আল হুজরাত-১২)

৭৬.আল্লাহকে ভয় কর এবং তাঁর রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো

হে ঈমানদারগণ!  তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং তাঁর রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো। তিনি নিজে অনুগ্রহের দ্বিগুণ অংশ তোমাদেরকে দিবেন, তোমাদেরকে দিবেন জ্যোতি, যার সাহায্যে তোমরা চলবে এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময়।   (সূরা আল হাদীদ-২৮)

৭৭. সীমালংঘন ও অবাধ্যতার বিষয়ে গোপনে পরামর্শ করো না

হে ঈমানদারগণ!  তোমরা যখন গোপনে পরামর্শ করো, তখন পাপাচার, সীমালংঘন ও রাসূলের অবাধ্যতার বিষয়ে পরামর্শ (কানাকানি) করো না বরং অনুগ্রহ (পুণ্য) ও খোদাভীতির (তাকওয়ার) ব্যাপারে পরামর্শ করো। আল্লাহকে ভয় কর, যাঁর কাছে তোমরা একত্রিত হবে। (সূরা আল মুজাদালাহ-০৯)

৭৮.মজলিসে জায়গা করে দিও

হে ঈমানদারগণ! মজলিসে জায়গা করে দিতে বলা হলে জায়গা করে দিও, আল্লাহ তোমাদেরকে প্রশস্ততা দান করবেন৷ আর যখন চলে যেতে বলা হবে, তখন চলে যেও৷ তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার ও যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, তাদের মর্যাদা আল্লাহ উন্নীত করবেন৷ বস্তুত আল্লাহ তোমাদের কার্যলাপ সম্পর্কে অবগত৷ (সূরা আল মুজাদালাহ-১১)

৭৯. ভালো ও পবিত্রার জন্য কিছু সাদাকা প্রদান করো

হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখণ রসুলের সাথে গোপন আলাপ করো তখণ আলাপ করার আগে কিছু সাদাকা প্রদান করিবে৷ এটা তোমাদের জন্য অপেক্ষাকৃত ভালো ও পবিত্র৷ তবে যদি সাদাকা দিতে কিছু না পাও; তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াময়৷ (সূরা আল মুজাদালাহ-১২)

৮০. চিন্তা করো আগামীকালের জন্য কি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছো

হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করো। প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত, আগামী কালের জন্যে সে কি প্রেরণ করে, তা চিন্তা করা। আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করতে থাক। তোমরা যা করো, আল্লাহ তা’আলা সে সম্পর্কে খবর রাখেন। (সূরা আল হাশর -১৮)

৮১. তোমরা শত্রুদেরকে বন্ধরূপে গ্রহণ করো না

হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধরূপে গ্রহণ করো না। তোমরা তো তাদের প্রতি বন্ধুত্বের বার্তা পাঠাও, অথচ তারা যে সত্য তোমাদের কাছে আগমন করেছে, তা অস্বীকার করছে। তারা রাসূলকে ও তোমাদেরকে বহিস্কার করে এই অপরাধে যে, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস রাখ। যদি তোমরা আমার সন্তুষ্টিলাভের জন্যে এবং আমার পথে জিহাদ (লড়াই) করার জন্যে বের হয়ে থাক, তবে কেন তাদের প্রতি গোপনে বন্ধুত্বের পয়গাম প্রেরণ করছ? তোমরা যা গোপন কর এবং যা প্রকাশ কর, তাহা আমি সম্যক অবগত। তোমাদের মধ্যে যে এটা করে, সে সরলপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায় । (সূরা আল মুমতাহিনা-০১)

৮২. ঈমানদার ও কাফেরদের মধ্যে বিবাহ হালাল নয়

হে ঈমানদারগণ! যখন তোমাদের কাছে ঈমানদার নারীরা হিজরত করে আগমন করে, তখন তাদেরকে পরীক্ষা কর। আল্লাহ তাদের ঈমান সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন। যদি তোমরা জান যে, তারা ঈমানদার, তবে আর তাদেরকে কাফেরদের কাছে ফেরত পাঠিও না। এরা কাফেরদের জন্যে হালাল নয় এবং কাফেররা এদের জন্যে হালাল নয়। কাফেররা যা ব্যয় করেছে, তা তাদের দিয়ে দাও। তোমরা, এই নারীদেরকে প্রাপ্য মোহরানা দিয়ে বিবাহ করলে তোমাদের অপরাধ হবে না। তোমরা কাফের নারীদের সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রেখো না। তোমরা যা ব্যয় করেছ, তা চেয়ে নাও এবং তারাও চেয়ে নিবে যা তারা ব্যয় করেছে। এটা আল্লাহর বিধান; তিনি তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়।      (সূরা আল মুমতাহিনা-১০)

৮৩. আল্লাহ যে জাতির প্রতি রুষ্ট তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো না

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ যে জাতির প্রতি রুষ্ট, তোমরা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো না। তারা পরকাল সম্পর্কে নিরাশ হয়ে গেছে যেমন কবরস্থ কাফেররা নিরাশ হয়ে গেছে। (সূরা আল মুমতাহিনা-১৩)

৮৪. তোমরা যা করো না, তা বলো না

হে ঈমানদারগণ! তোমরা যা করো না, তা কেন বলো?        (সূরা আছ-ছফ-০২)

৮৫. যে বানিজ্যে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে

হে ঈমানদারগণ! আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বানিজ্যের (ব্যবসায়ের) সন্ধান দিব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে?       (সূরা আছ-ছফ-১০)

৮৬. তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হয়ে যাও

হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হয়ে যাও, যেমন ঈসা ইবনে-মরিয়ম তার শিষ্যবর্গকে বলেছিল, আল্লাহর পথে কে আমার সাহায্যকারী হবে? শিষ্যবর্গ বলেছিলঃ আমরা আল্লাহর পথে সাহায্যকারী। অতঃপর বনী-ইসরাঈলের একদল বিশ্বাস স্থাপন করল এবং একদল কাফের হয়ে গেল। যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছিল, আমি তাদেরকে তাদের শত্রুদের মোকাবেলায় শক্তি যোগালাম, ফলে তারা বিজয়ী হল। (সূরা আছ-ছফ-১৪)

৮৭. যখন নামাযের আযান দেয়া হয় তখন বেচাকেনা বন্ধ কর

হে ঈমানদারগণ! জুমআর দিনে যখন সালাতে (নামাযের) আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে এগিয়ে যাও এবং সমস্ত বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্যে উত্ওম যদি তোমরা জানতে। (সূরা আল জুমুআহ-০৯)

৮৮. সম্পদ ও সন্তান যেন আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন না করে

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন (গাফেল) না করে। যারা এ কারণে উদাসীন (গাফেল) হবে, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা মুনাফিকুন-০৯)

৮৯.সতর্ক থাকো তোমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের প্রতি

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি তোমাদের শত্রু (দুশমন) । অতএব তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকো। তবে যদি মার্জনা করো, তাদের দোষ-এুটি উপেক্ষা করো, এবং ক্ষমা করো, তবে জানিয়া রাখো, আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুনাময়। (সূরা আত-তাগাবুন-১৪)

৯০. নিজেদেরকে এবং পরিবার-পরিজনকে আগুন থেকে রক্ষা করো

হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে সেই জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও প্রস্তর, যাতে নিয়োজিত আছে পাষাণ হৃদয়, কঠোরস্বভাবের ফেরেশতাগণ। তারা আল্লাহ তাআলা যা আদেশ করেন, তা অমান্য করে না এবং যা করতে আদেশ করা হয়, তাই করে। (সূরা আত-তাহরীম-০৬)

৯১.আল্লাহ তাআলার কাছে আন্তরিকভাবে তওবা করো

হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ তাআলার কাছে আন্তরিকভাবে তওবা করো। আশা করা যায়, তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মন্দ (পাপ) কর্মসমূহ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। সেদিন আল্লাহ নবী এবং তাঁর বিশ্বাসী সহচরদেরকে নিরাশ (অপদস্থ) করবেন না। তাদের নূর (আলো) তাদের সামনে ও ডানদিকে ছুটোছুটি করবে। তারা বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের নূরকে (আলোকে) পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর সর্ব শক্তিমান। (সূরা আত-তাহরীম-০৮) 

সত্য তোমার রবের পক্ষ থেকে, সুতরাং সন্দেহকারীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়ো না

(সূরা আলে-ইমরান-৬০)

No comments:

Post a Comment