In the name of Allah; The Most Merciful; The Most Beneficent
ইতিবাচক মনোভাবের গুরুত্ব ও শিক্ষকের কর্তব্য
আমরা আমাদের
ছোটবেলা থেকে সবচেয়ে বেশি যে কথাগুলো বেশি বেশি শুনে অভ্যস্ত তা হল- এটা ভুল, এটা করা যাবে না, ওটা করবে না, তুমি কিছু পারনা, তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না, ওকে দেখে শেখ, ওপারলে তুমি পার না
কেনো, ওর পা ধুঁয়ে পানি খাও ইত্যাদি আরো কত কিছু।
একবার ভেবে দেখুন তো যখন আপনি কিংবা আমরা যখন এই কথাগুলো প্রতিনিয়ত শুনি, তখন আমাদের কেমন লাগে, আমাদের মনের অবস্থা কি হয়, আমাদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরে, মাঝে মাঝে মনে হয় সবকিছু ধ্বংস করে ফেলি, আবার দুনিয়াতে বেঁচে
থাকা্ই অর্থহীন মনে হয় এবং একসময় মনে হয় যে সত্যি আমাকে দিয়ে আর কিছু হবে না, আমি কিছু পারিনা আর পারবো না । এভাবে ধীরে ধীরে নেতিবাচক কথাগুলো আমাদের মনোবল ও আত্মবিশ্বাসকে ভেঙ্গে দেয়, আমাদের প্রতিভাগুলো নষ্ট করে দেয়, আমাদের কিছু
করার তাড়নায় বাঁধা দেয় এবং আমাদের মধ্যে হতাশা কাজ করে। আসলে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা হলো দৈত্য
প্রাচীরের মতো।এটি আমাদেরকে আমাদের লক্ষ্যগুলি অর্জন থেকে বিরত রাখে এবং আমাদের জীবনে
অগ্রসর হতে বাধা দেয় ।
ঘরে-বাহিরে, স্কুলে, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সব জায়গাতে এই নেতিবাচক কথাগুলো আমাদেরকে মানসিকভাবে দুর্বল করে দেয়, আমাদের আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়, আমরা হীনমন্যতায় ভুগতে থাকি যার প্রভাব পড়ে আমদের কাজে ও লেখাপড়ায়।সমীক্ষায় দেখা গেছে যে দীর্ঘায়িত নেতিবাচক চিন্তাভাবনার একটি অভ্যাস মানুষের মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনা, যুক্তি এবং স্মৃতি গঠনের ক্ষমতা হ্রাস করে। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা ও শব্দ একজন ছাত্র বা ছাএীকে তার আসল সম্ভাবনা থেকে পিছয়ে রাখে । অধিকন্তু, আরো একটি গবেষণায় দেখা গেছে নেতিবাচক শব্দের সাথে জড়িত শিশুদের মধ্যে উদ্বেগের মাত্রা বৃদ্ধি পায় । শেষ পর্যন্ত, নেতিবাচক শব্দগুলি, যা বলা হয়, শুনে বা মনে করা হয়, তা কেবল পরিস্থিতিগত চাপ তৈরি করে না, বরং দীর্ঘমেয়াদী উদ্বেগে অবদান রাখে।অপরপক্ষে, একটি ইতিবাচক মনোভাব হলো ইতিবাচক চিন্তাভাবনা, ঘটনা এবং পরিণতির শৃঙ্খলাবদ্ধ প্রতিক্রিয়ার কারণ। একটি ইতিবাচক মনোভাব আমাদের জীবনের দৈনন্দিন বিষয়গুলির সাথে আরও সহজে মোকাবেলা করতে সহায়তা করে। এটি আমাদের জীবনে আশাবাদ নিয়ে আসে এবং উদ্বেগ এবং নেতিবাচক চিন্তাভাবনা এড়ানো সহজ করে তোলে। আমারা যদি এটিকে জীবনযাত্রার উপায় হিসাবে গ্রহণ করি তবে এটি আমাদের জীবনে গঠনমূলক পরিবর্তন আনবে এবং এগুলিকে আরও সুখী, উজ্জ্বল এবং আরও সফল করে তুলবে।
ইতিবাচকতা এমন একটি জিনিস যা কেবল আমাদের জীবনের একটি ক্ষেত্রকে প্রভাবিত
করে না। এটি প্রতিটি ক্ষেত্রকে, ধাপকে, অঞ্চলকে প্রভাবিত করে। আমারা যখন আনন্দ এবং
শান্তিতে ভরে উঠি, তখন আমরা আরও ভাল ছাত্র, আরও ভাল বন্ধু এবং আরও ভাল অভিভাবক ও আরও
ভাল শিক্ষক হয়ে উঠি।
এক্ষেএ একজন শিক্ষক পারেন সবচেয়ে বড় ভুমিক পালন করতে । একজন শিক্ষকই পারেন তার ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা এই নেতিবাচক মানসিকতা দূর করে তাকে ইতিবাচক মানসিকতার একজন হিসাবে গড়ে তুলতে । ছাত্র-ছাত্রীদের ঝুঁকি নিতে এবং শ্রেণিকক্ষে এবং বাড়িতে নতুন জিনিস চেষ্টা করার মাধ্যমে উৎসাহ দিয়ে ইতিবাচকতা কার্যকর করতে পারেন।
শিক্ষক তার শিক্ষার্থীর সাথে নিয়মিত লক্ষ্যগুলি পরিকল্পনা করেন এবং এটি করার সময় সাফল্যের চেহারাটি কেমন তা স্পষ্ট করে সেট করেন। লক্ষ্যটি অর্জন করতে কেমন লাগবে? পুরষ্কার কি হবে? সফল হওয়ার অর্থ কী? এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে শিক্ষক তার ছাত্র-ছাত্রীদের লক্ষ্যের দিকে কাজ করার জন্য উচ্ছ্বসিত করেন এবং তাকে বা তার ইতিবাচক ফলাফলগুলি স্মরণ করিয়ে দেন ।
একজন শিক্ষকই তার শিক্ষার্থীকে বোঝতে সক্ষম হন যে –“আমিও পারি, আমিও পারব”। পৃথিবীতে শুধুমাত্র একজন শিক্ষকই মন থেকে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে তার ছাত্র-ছাত্রীরা পারবে এবং সেই বিশ্বাস বাস্তবতায় পরিণত করতে পারেন। এই অসম্ভব তখনি সম্ভব হয় যখন শিক্ষক নিজে ইতিবাচক মানসিকতার হয়ে থাকেন এবং তা ছড়িয়ে দেন তার শিক্ষার্থীর মাঝে প্রতিনিয়ত। লক্ষ্য অর্জন এবং সাধারণভাবে সাফল্য সম্পর্কে যদি শিক্ষকের ইতিবাচক মনোভাব থাকে তবে তার শিক্ষার্থীরা যে কোন পদক্ষেপ নিতে আরও অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হয় । শিক্ষকের সামান্য ইতিবাচক কথাই পার্থক্য সৃষ্টি করে, পরিবর্তন করতে পারে ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন, গড়ে তুলতে পারে এক নতুন পৃথিবী ।
Speak Good... Feel Good...Be Good
*হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় কর, তাঁর নিকটবর্তী হওয়ার
উপায় অনুসন্ধান কর এবং তাঁর পথে সংগ্রাম কর যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সূরা মায়েদা
-৩৫)
Outstanding writing.
ReplyDeleteThanks for wondrful writing.
ReplyDeleteGood advice for all sir.
ReplyDeleteI have read it. Really wonderful writing.
ReplyDeleteThanks sir for your valuable writing.
ReplyDeleteAssalamualikum sir. Thank u for it.
ReplyDeleteThanks sir for your hard work. U r great.
ReplyDeleteVery good piece of writing.
ReplyDeleteAssalamualikum sir. I m frm AIMS.
ReplyDeleteThnx sir. Yr student from AIMS. We miss u sir.
ReplyDeleteVery good.
ReplyDeleteTnank you, sir.
ReplyDeleteVery good. Sir.
ReplyDeleteSuch a good writing. We all should be psitive.
ReplyDeleteVery much essential for all.
ReplyDeleteVery inspiring.
ReplyDeleteHow to Play Casino: Easy Guide to playing slots on
ReplyDeleteCasino 도레미시디 출장샵 games are played by 4 players, https://septcasino.com/review/merit-casino/ the average time https://tricktactoe.com/ they take turns is around 14:20. The house is divided into https://oncasinos.info/ three nov카지노 사이트 distinct categories: the house
Writing is so good
ReplyDelete