Oct 12, 2022

A Brief Description of the New Education Curriculum of Bangladesh ** নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম**

 

বদলে যাচ্ছে শিক্ষাক্রম  শিক্ষার্থী মূল্যায়ন পদ্ধতি


নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা মূল্যায়ন শিক্ষাক্রমে আমূল পরিবর্তন এনে নতুন শিক্ষাক্রম আগামী বছর থেকে বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রাক্-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের নতুন এই শিক্ষাক্রম আগামী ২০২৩ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণিতে পুরোপুরি চালু হবে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে প্রথম, ষষ্ঠ সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হবে। ২০২৪ সালে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম নবম শ্রেণিতে চালু হবে। ২০২৫ সালে পঞ্চম দশম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিকের একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে চালুর মধ্য দিয়ে পুরোপুরিভাবে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থী মূল্যায়নে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। প্রথাগত পরীক্ষার চেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক মূল্যায়ন বেশি হবে। প্রাক্-প্রাথমিক, প্রথম, দ্বিতীয় তৃতীয় শ্রেণিতে প্রথাগত কোনো পরীক্ষা থাকবে না। এসব শ্রেণিতে সারা বছর ধরে চলা বিভিন্ন রকমের শিখন কার্যক্রমের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন কর হবে। চতুর্থ পঞ্চম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ৬০ শতাংশ মূল্যায়ন হবে ধারাবাহিক শিখন কার্যক্রমের ভিত্তিতে। বাকি ৪০ শতাংশ মূল্যায়ন হবে প্রথাগত পরীক্ষার ভিত্তিতে। পরবর্তী শ্রেণিগুলোর মূল্যায়নের পদ্ধতি জন্য পরীক্ষা ধারাবাহিক শিখন কার্যক্রম দুটোই রাখা হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রমে

ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে ৬০ শতাংশ মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন। ৪০ শতাংশ মূল্যায়ন হবে পরীক্ষার ভিত্তিতে। নবম দশম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে ৫০ শতাংশ মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন। বাকি মূল্যায়ন হবে পরীক্ষার মাধ্যমে। চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম দশম শ্রেণির অন্যান্য বিষয়ে পুরো মূল্যায়ন হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক  শিখনকালীন কার্যক্রমের ভিত্তিতে।

তবে নতুন শিক্ষাক্রমে একাদশ দ্বাদশ শ্রেণিতে গিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়নে বেশি জোর দেওয়া হবে। এই স্তরে ৭০ শতাংশ মূল্যায়ন হবে পরীক্ষার মাধ্যমে এবং বাকি ৩০ শতাংশের মূল্যায়ন হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিখনকালীন কার্যক্রমের ভিত্তিতে

নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা অর্জনের ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। জন্য এই শিক্ষাক্রমকে বলা হচ্ছে যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর কতটা দক্ষ হয়ে উঠছে, সেটা তাদের উপস্থাপনার মাধ্যমে যাচাইয়ের ব্যবস্থা থাকবে। ছাড়া অ্যাসাইনমেন্টসহ বছরব্যাপী বিভিন্ন বাস্তবসম্মত কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করবেন শিক্ষকেরা। এর মাধ্যমে মূলত শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা এবং বিশ্লেষণী ক্ষমতার বিকাশ মুল লক্ষ

নতুন শিক্ষাক্রম মুলত বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সাথে মোকাবিলা করতে মানসম্পন্ন শিক্ষা দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হবে আশা করা যায় নতুন শিক্ষাক্রম  যুগোপযুগী এবং টেকসই শিক্ষা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে।

            ------******------

5 comments: