Mar 2, 2024

কী কারণে শুরুতেই বাদ পড়তে পারে আপনার সিভি বা কারিকুলাম ভিটা/ 7 Reasons Your CV Can Get Rejected in the Beginning*Reasons for exclusion of CV

 In the name of Allah, the Most Beneficent and the Most Merciful

                       
যে কারণে শুরুতেই বাদ পড়তে পারে আপনার সিভি বা কারিকুলাম ভিটা

একের পর এক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সিভি (কারিকুলাম ভিটা বা জীবনবৃত্তান্ত) পাঠান, কিন্তু কোন ডাক বা সাড়া আসে না। প্রাথমিক বাছাইতেই হয়তো আপনি চাকরিদাতা প্রতিষ্টানের প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়ে যান। কী কী কারণে প্রথমেই আপনার সিভি বাদ পড়তে পারে? চলুন সেই কারণগুলি জানা যাক:

১. যোগাযোগের তথ্যবিভ্রাট

সিভিতে আপনার সঠিক ই-মেইল, ঠিকানা ও টেলিফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, শুরুতেই তা নিশ্চিত করা দরকার। সব সময় চেষ্টা  করবেন, যে টেলিফোন নম্বর বা ই–মেইল আপনি নিয়মিত ব্যবহার করেন, সিভিতে সেটিই ব্যবহার করা। ভুল ফোন নম্বর বা ই–মেইল  দেওয়ার কারণে অনেকের কাছেই চাকরিদাতা প্রতিষ্টান প্রয়োজনীয় সময়ে যোগাযোগ করতে পারে না তাই শুরুতেই বাদ পড়ে যায় আপনার সিভি ।

২. বানান ও ছোটখাটো ভুল

সিভিতে বানান ও ছোটখাটো ব্যাকরণগত ভুল হলে শুরুতেই একটা নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। সিভিতে এই ‘ছোটখাটো’ ভুলের কারণে শুরুতেই বাতিল হয়ে যেতে পারে আপনার সিভি। সিভি লেখার পর অবশ্যই বানান ও ছোটখাটো  কোনো ভুল হলো কি না, তা যাচাই করে নেওয়া উচিত হবে। সিভিতে বানান ও ছোটখাটো ব্যাকরণগত ভুল হলে চাকরিদাতা প্রতিষ্টান আপনার সাথে যোগাযোগ না করার সম্ভাবনাই বেশি ।

৩. অপ্রাসঙ্গিক ও অনুপযুক্ত  তথ্য

সিভিতে সঠিক ও যথাযথ তথ্য দিতে হবে। ভারসাম্য বজায় রেখে সিভিতে শুধু অপরিহার্য তথ্য দিতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সব সময় ওপরের দিকে রাখা উচিত। সিভিতে সাম্প্রতিক কাজের অভিজ্ঞতা এবং সর্বশেষ সাফল্যগুলো প্রথম দিকে রাখা উচিত।  কোন অপ্রাসঙ্গিক ও অনুপযুক্ত  তথ্য দিলে শুরুতেই বাতিলের খাতায় চলে যেতে পারে আপনার সিভি।

৪. বিভ্রান্তিকর তথ্য

সিভিতে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য দেওয়া কোন ভাবেই  উচিত নয়। আপনার বর্তমান পদ বা সাফল্য সম্পর্কে মিথ্যা লেখা, চাকরি অথবা পড়ালেখার মধ্যে দীর্ঘ বিরতি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া, পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তন করা অথবা উল্লেখ না করা, শিক্ষাগত যোগ্যতা সঠিকভাবে না লেখা, পরীক্ষার পাসের বছর উল্লেখ না করা, বিভিন্ন তথ্যের অসামন্জসতা—এসব কারণে সিভি বাদ পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে বেশি।

৫. যথাযথ পদ্ধতি বা পদ অনুযায়ী আবেদন না করা

অপ্রাসঙ্গিক পদে কিংবা নির্ধারিত ধরন অনুসরণ না করে আবেদন করলে সিভি বাদ পড়ে যায়। যেকোনো পদের জন্য সিভি দেওয়ার আগে অবশ্যই ‘জব ডেসক্রিপশন’ বা ‘আবেদনের প্রক্রিয়া’ পড়তে হবে। অনেক প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে বলে বা সিভির ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা দিয়ে দেয়। আপনি সেটি অনুসরণ না করলে বা ‘জব ডেসক্রিপশন’–এর সঙ্গে আপনার যোগ্যতা মানানসই কি না, তা যাচাই না করলে প্রাথমিক বাছাইতেই সিভি বাদ পড়ে যেতে পারে।

৬. মিথ্যা রেফারেন্স দেওয়া

অনেক সময় দেখা যায় সিভিতে রেফারেন্স হিসেবে যাদের নাম দেওয়া হয় তারা হয়তো আবেদনকারীকে চিনেন না । সিভিতে মিথ্যা কোন রেফারেন্স দেওয়া যাবেনা । যারা ফ্রেসার আছেন তারা দুইটি রেফারেন্স রাখতে পারেন। রেফারেন্সে কোনোভাবেই পরিবারের কাউকে বা আত্মীয়-স্বজনকে রাখবেন না।  সিভিতে সঠিক রেফারেন্স না থাকার  কারণেও বাদ পড়ে যেতে পারে আপনার সিভি ।

 

৭. স্বাক্ষর না করা

সিভিতে স্বাক্ষর খুবই গুরুত্বপুর্ণ । সবশেষে যথাস্থানে স্বাক্ষর না থাকলে প্রাথমিক বাছাইতেই আপনার  সিভি বাদ পড়ে যেতে পারে। তাই সিভি জমা দেওয়ার আগে যথাস্থানে স্বাক্ষর দিয়েছেন কিনা তা দেখে নিবেন ।

No comments:

Post a Comment